ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পাবনার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন।
পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের কবলে পরে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আজ হুমকির মূখে। সরজমিনে দেখা গেছে পদ্মার মারাত্বক স্রোত নদীর অপরপ্রান্ত রাজবাড়ী জেলার কালুখালী হতে ক্রস হয়ে সরাসরি নাজিরগঞ্জ এলাকায় আঘাত হানছে। এতে করে ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ফেরীঘাট সহ ইংরেজ আমলের নীল কুঠি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির আজ চরম হুমকির মুখে। বড়খাপুর গ্রামের দোবে বাড়ির আঙিনায় ইতিহাস স্বাক্ষী শতবর্ষী বটগাছ দুটিকে হয়তো এবার আর বাঁচানো যাবে না। মারাত্বক ঘূর্ণি স্রোতের কবলে হারিয়ে যেতে বসেছে বটগাছ দুটি। ইউনিয়নের বড়খাপুর, বুলচন্দ্রপুর, হাসামপুর, কালিকাপুর, গোপালপুর, মহব্বতপুর, মোহনপুর, কামারহাট, উদয়পুর ও মালিফার বিস্তির্ন আবাদী জমি ইতিমধ্যে পদ্মা গ্রাস করে নিয়েছে। ভাঙ্গন এখন মানুষের বসতবাড়ির আঙিনায়। এতে করে এলাকার শত শত কৃষক তাদের ফসলি জমি ও বসতি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিনবঙ্গের যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত নাজিরগঞ্জ ফেরীঘাট ও নৌবন্দরটি যেকোন মূহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ঐতিহাসিক নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, নাজিরগঞ্জ বাজার ও উদয়পুর বাজারের কিছু অংশ ইতিমধ্যে পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় আমরা এলাকাবাসী সরকারের কাছে আবেদন করছি আপনারা সরজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের হাত থেকে আমাদের বাঁচান। দ্রুত ভাঙ্গন রোধের ব্যাবস্থা করে সরকারি ও এলাকার সাধারণ গরীব কৃষকের ফসলি ও বসতি জমি রক্ষা করুন।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস